টাইটানিক সম্পর্কে ১৬টি তথ্য, যা অবাক করবে আপনাদের

টাইটানিক, এক রূপকথার নাম যেন। কত মিথই তো ছড়িয়ে এই জাহাজটিকে ঘিরে! সেগুলি অনেকেরই জানা। এ সবের বাইরে এমন অনেক ছোটখাটো তথ্য আছে, যেগুলি শুনলে যারপরনাই অবাক হতে হয়।


১. যে দিন হিমশৈলে টাইটানিক ধাক্কা খেয়েছিল, সেই দিনই লাইফবোটের একটি মহড়া ছিল টাইটানিকে। ক্যাপ্টেন সেটি বাতিল করেন।

২. সিনেমায় মনে আছে, কীভাবে মিউজিশিয়ানরা ক্রমাগত বেহালা বাজিয়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ডোবার সময়ে? বাস্তবেও তেমনটাই ঘটেছিল।

৩. হারশে চকোলেট সংস্থার মালিক, তৎকালীন ব্রিটিশ ধনীদের অন্যতম, মিল্টন হারশের কাছে টাইটানিকের টিকিট ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য তিনি তা বাতিল করেন।

৪. এক জাপানি যাত্রী প্রাণে বেঁচেছিলেন। কোনওক্রমে তীরে পৌঁছনোর পরে তিনি যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যান। সহযাত্রীদের কথা ভাবেননি বলে অভিযোগ।

৫. যে চারটি স্মোকস্ট্যাক (ধোঁয়া বেরনোর বিশাল চিমনি) ছিল জাহাজটির, তার তিনটি কাজ করত। একটি ছিল স্রেফ জাহাজ সাজানোর জন্য।

৬. সংবাদপত্রে প্রথম দিন খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ‘‘টাইটানিক ডুবেছে। তবে কেউ মারা যাননি।’’

৭. দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরে নিউ ইয়র্ক টাইমস ৭৫ পাতা জুড়ে শুধু টাইটানিকেরই খবর ছেপেছিল।

৮. ‘ক্যালিফোর্নিয়ান’ নামে একটি জাহাজ টাইটানিকের খুব কাছেই ছিল। কিন্তু তার ওয়্যারলেস অপারেটর ছিলেন গভীর ঘুমে। টাইটানিক থেকে আকাশে ছোড়া সেই বিপদসংকেত তিনি দেখতেই পাননি।

৯. টাইটানিকের ‘চিফ বেকার’, অর্থাৎ বেকারির দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি দু’ঘণ্টা ওই ঠান্ডা জলে থাকার পরেও বেঁচে গিয়েছিলেন। কারণ? অতিরিক্ত মদ্যপানে তাঁর শরীর ছিল গরম।

১০. টাইটানিক-ই একমাত্র জাহাজ, যা হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবেছে।

১১. বেশিরভাগ লাইফবোটেই জায়গা ফাঁকা ছিল। কিন্তু কোনও অজানা কারণে সেগুলিতে লোক নেওয়া হয়নি।

১২. হিমশৈলের খবর ক্যাপ্টেনের কাছে যখন এসেছিল, তার মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে এলেই টাইটানিক-কে বাঁচানো যেত।

১৩. ১,৫১৪ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। উদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র ৩৩৬টি দেহ।

১৪. যে হিমশৈলে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবেছিল, সেটির গঠন হয়েছিল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে।

১৫. সবথেকে দামি টিকিটের মূল্য কত ছিল জানেন? সেই সময়ে ৪,৩৫০ মার্কিন ডলার।

১৬. তৃতীয় শ্রেণিতে ৭০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন। তাঁদের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র দু’টি বাথটাব।

সূত্রঃ এবেলা

Comments